মধুচন্দ্রিমায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ২৭ বছর বয়সী অরবিন্দ স্ত্রীর সঙ্গে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু প্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়েই পড়লেন মহাবিপদে। হিমাচল প্রদেশের কুলুতে প্যাাগ্লাইডিং করতে গিয়ে আর ফিরলেন না অরবিন্দ। স্বামীর জন্য ঠায় অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলেন অরবিন্দের সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী। চেন্নাইয়ের বাসিন্দা অরবিন্দ প্যারাগ্লাইডিংয়ের সময় দড়ি ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্য়ু হয়। অরবিন্দকে প্য়ারাগ্লাইডিং করানো পাইলটও গুরুতর আহত। সারা শরীরে অসংখ্য চোট নিয়ে তিনিও হাসপাতালে ভর্তি। পুলিস জানিয়েছে, সেই পাইলটের বৈধ লাইসেন্স ছিল। এটা নিছকই দুর্ঘটনা। তবুও ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
কুলুর এই দুর্ঘটনা আরও একবার সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। প্যারাগ্লাইডিংয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস-এর ক্ষেত্রে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয় কতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় তা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন উঠেছে। রিবার রাফটিং বা প্যারাগ্লাইডিংয়ের ক্ষেত্রে একের পর এক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা সামনে আসছে। ফলে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। অনেকেই বলছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনা ঘটে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ও উদাসীনতার জন্য। প্য়ারাগ্লাইডিং-এর ক্ষেত্রে যে টেকনিক্যাল কমিটি লাইসেন্স প্রদান করে তারা নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম পালন করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেই নিয়মগুলির পালন করা হয় না। অনেক সময় দক্ষ পাইলটের অভাবও দেখা দেয়। কিন্তু রাইডিং বন্ধ হয় না।
প্যারাগ্লাইডিং-এর ক্ষেত্রে যে সব কিট ব্যবহার করা হয় সেগুলি বছরে অন্তত একবার পরীক্ষা করার নিয়ম রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই সেগুলি সঠিক পরীক্ষা নিরীক্ষা হয় না। গত বছর মানালির সোলাং ভ্যালিতে প্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়ে একইভাবে একজন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল। এবারও একই দুর্ঘটনা!
রিপোর্ট: News9bangla ব্যুরো
Powered by Creative Islands.